অপুষ্টির লক্ষণগুলো কি কি

অপুষ্টির লক্ষণগুলো কি কি জানার জন্য, আমাদের baisakhitv.com  ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাদের স্বাগত জানায়।অপুষ্টির কারনে একজন ব্যাক্তির শারীরিক ও মানুষিক অবস্থা পোষণের অভাব হয়।এই লক্ষণ দূর করার জন্য সঠিক ও সমৃদ্ধশীল খাবার অধিক গুরুত্বপূর্ণ। 



অপুষ্টি কাকে বলে 

 একজন ব্যাক্তি শক্তির অথবা পুষ্টি গ্রহণের ঘাটতির  অতিরিক্ত ভারসাম্যহীনতাকে অপুষ্টি বলে।পোষণের অভাবের জন্য সঠিক ও প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করা দরকার।পুষ্টির অভাবে মানুষের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন সঠিকভাবে নিয়ম মেনে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।

অপুষ্টি খাবার কি

এক কথায় যে খাবার মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরে রোগের সৃষ্টি করে।যেমন: অতিরিক্ত লবন খাওয়া,পুরা তৈলে বাজা খাবার, নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য,দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা খাবার।


অতিরিক্ত লবন খেলে শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়,পেটে ক্যান্সার এবং কিডনিরও সমস্যা হতে পারে। আবার বাজা পুরা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর,প্রতিনিয়ত এই সব খাবার খেলে ক্যান্সার আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।তাছাড়া দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা খাবার গুণগত মান ও পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাবার বেশীদিন ফ্রিজে না রাখায় ভাল।

শিশুর অপষ্টির লক্ষণ

আমাদের সন্তান সন্ততির জন্য পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।শিশুর বেড়ে উঠা ও মেধা বিকাশে পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের শরীরের কতগুলো লক্ষ্মণ দেখে বুঝা যায় পুষ্টির অভাব।নিম্নে লক্ষণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ওজন:বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী যে ওজন থাকার কথা তার চেয়ে অনেক কম হবে।কোন বাচ্চার ওজন যদি ৩ থেকে ৭ মাসের মধ্যে ৫-১০ শতাংশ হ্রাস পায় বুঝতে হবে অপুষ্টি।National health services এর মতে,শিশুদের পুষ্টির অভাব হলে ওজন খুব দ্রুত হ্রাস পায়। 


দাঁতের সমস্যা: শিশুদের দাঁতের সমস্যা আমরা সাধারণত বলি চকলেট খাবার কারণে হয়।কিন্তু এছাড়াও পুষ্টির ঘাটতি হলে ও ভিটামিন সি অভাব হলে হয়।


মানুষিক বিকাশ: বাচ্চাদের অপুষ্টির কারনে বেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।এর অভাবে বাচ্চারা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যায়।

বাংলাদেশে অপুষ্টির কারণ

বাংলাদেশ একটি গরীব দেশ।এই দেশের অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে।বর্তমান দ্রব্য মুল্যের অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায়, জনসাধারণের পক্ষে পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে পরেছে।


বাংলাদেশের প্রায় ৫ লক্ষের বেশী লোক আয়োডিনের অভাবে জড়জরিত।এছাড়াও অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলা ও শিশু বাচ্চারা তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে না।


পুষ্টি ও অপুষ্টির পার্থক্য

যা খেলে শরীরে শক্তি যোগায় ও খাদ্যের বৃদ্ধির জন্য তা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে তা হল পুষ্টি। আর অপুষ্টি হল যা শরীলে ক্ষতি করে এবং শরীর গঠনে বাঁধা সৃষ্টি করে।আমাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক বেঁচে থাকতে হলে পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে এবং অপুষ্টি ত্যাগ করতে হবে।

অতিপুষ্টি কাকে বলে

শরীরের যা প্রয়োজন তার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে যে অতিরিক্ত পুষ্টি উৎপাদন হয়। মোট কথা প্রয়োজনের চেয়ে তিন চারগুণ বেশি পুষ্টি উৎপাদন হয় তাকে অতিপুষ্টি বলে।


পুষ্টির অতিরিক্ত মাত্রায় হল অপুষ্টি,যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।অপুষ্টি যেমন শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে,অতিপুষ্টি তার চেয়েও অধিক ক্ষতিকারক।তাই আমাদের সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাচতে হলে খাবার নিয়ম কানুন মেনে সঠিক খাদ্য অভ্যাস মানতে হবে।


অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলো কি কি

পুষ্টির অভাব যেমন শরীরে বুঝা যায় ঠিক তেমনি অতিপুষ্টিও লক্ষ করা যায়। যেমন:

শরীরের ওজন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

বিভিন্ন অস্বাভাবিক লক্ষণ শরীরে দেখা দিবে।

রক্তচাপ বৃদ্ধি ও চলাফেরা কষ্ট হবে।


পুষ্টির সমস্যা প্রতিরোধে করনীয় 

এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং অপুষ্টি খাবারগুলো বাদ দিতে হবে।পুষ্টি আছে কোন কোন খাবারে তা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এভাবে রুটিন মেনে খাদ্যের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। 

পরিশেষে

পরিশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতক্ষণ মনযোগ দিয়ে আমাদের প্রবন্ধটি পড়ার জন্য। আশা করি অপুষ্টির লক্ষণগুলো কি কি এর সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি।




Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম